bayyinaat

বিধিবিধান
তুলনামূলক আলোচনা
কে মু’তা বিবাহ নিষিদ্ধ করেছে? (২)
দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর তার খেলাফত কালে মিম্বারে বসে জনগণের উদ্দেশ্যে বক্তৃতার এক পর্যায়ে উল্লেখ করেন: “রাসূলের (সা.) যুগে দু’ধরনের মু’তার প্রচলন ছিল। কিন্তু আমি সে দু’টি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছি। তন্মধ্যে একটি হচ্ছে তামাত্তু হজ্ব এবং অপরটি মু’তাতুন্নেসা বা সাময়িক বিবাহ।
কে মু’তা বিবাহ নিষিদ্ধ করেছে? (১)
দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর তার খেলাফত কালে মিম্বারে বসে জনগণের উদ্দেশ্যে বক্তৃতার এক পর্যায়ে উল্লেখ করেন: “রাসূলের (সা.) যুগে দু’ধরনের মু’তার প্রচলন ছিল। কিন্তু আমি সে দু’টি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছি। একটি হচ্ছে তামাত্তু হজ্ব এবং অপরটি মু’তাতুন্নেসা বা সাময়িক বিবাহ।
পবিত্র কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে সাময়িক বিবাহ
শিয়া ও সুন্নী উভয় মাযহাবের শীর্ষস্থানীয় আলেমবৃন্দ ঐকমত্যের ভিত্তিতে বিশ্বাস করেন যে, রাসূলুল্লাহর (সা.) যুগে সাময়িক বিবাহের প্রচলন ছিল। কিন্তু সুন্নী মাযহাবের অধিকাংশ ফিকাহবিদগণ মন্তব্য করেছেন যে, এ বিবাহের বিধানটি পরবর্তিতে রহিত করা হযেছে।
সাময়িক বা খণ্ডকালীন বিবাহের সাথে স্থায়ী বিবাহের পার্থক্য
সাময়িক বিবাহে জন্ম গ্রহণকারী সন্তানাদি সম্পূর্ণ বৈধ এবং তারা স্থায়ী বিবাহে জন্ম গ্রহণকারী সন্তানাদির ন্যায় প্রদত্ত অধিকারসমূহের প্রাপ্য হকদার। সাময়িক বিবাহে স্ত্রী জীবন নির্বাহের ব্যয় এবং উত্তরাধিকার সম্পত্তির অংশীদার হবে না। কিন্তু এক্ষেত্রে কিছু ফিকাহবিদের মত হচ্ছে যে, যদি স্ত্রী আকদের সময় জীবন নির্বাহের ব্যয় এবং উত্তরাধিকার সম্পত্তির অংশীদারিত্বের শর্তারোপ করে তাহলে তাকে তা প্রদান করতে হবে।
এ প্রবন্ধে আমরা পবিত্র কোরআন, রাসূল (সা.) এবং মাসুম ইমামগণ (আ.) থেকে বর্ণিত প্রসিদ্ধ রেওয়ায়েতের আলোকে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গিতে দু’টি নামায এক সাথে আদায় প্রসঙ্গে তথ্য-সমৃদ্ধ আলাচনা ও পর্যালোচনা করব...
ইমামী মাজহাবের ফকীহগণ ফিকাহর কিতাবসমূহে ‘খুম্‌স’ শিরোনামে একটি বিশেষ অধ্যায় সংযোজন করেছেন যা ‘যাকাত’ অধ্যায়ে স্থান পেয়েছে। এ অধ্যায়ের মূল কোরআন মজীদের সূরা আনফালের ৪১ নং আয়াতে নিহিত রয়েছে। এ আয়াতে বলা হয়েছে...